জঙ্গি সারোয়ারের পরিচয় নিয়ে র্যাব-পুলিশের ভিন্ন দাবি
প্রকাশ: ২০১৬-১০-২৭ ১১:১৩:৫২
দুর্ধর্ষ নব্য জেএমবির প্রধান কে? এ নিয়ে চলছে পুলিশ ও র্যাবের মধ্যে পৃথক ব্যক্তির নামে দাবি। পুলিশ দাবি করছে, নব্য জেএমবির প্রধান নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত কানাডা প্রবাসী তামিম আহমেদ চৌধুরী। র্যাব দাবি করেছে, তামিম নিহত হওয়ার পর আব্দুর রহমান ওরফে সারোয়ার জাহান নিজেকে নব্য জেএমবির আমীর হিসাবে ঘোষণা দেয়।
গত ২১ অক্টোবর কাওরানবাজারে র্যাবের নতুন মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ দাবি করেন, সারোয়ার জাহান ১৩ বছর ধরে জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। নারায়ণগঞ্জ অপারেশনের পর সে নিজেকে নব্য জেএমবির আমীর হিসাবে ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আব্দুর রহমানের নাম আমাদের তদন্তেও এসেছে। মূলত তামিমে ডেপুটিদের পরের ধাপের নেতা হিসেবে আমরা তার নাম পেয়েছি। অথ্যাৎ তৃতীয় সারির নেতা ছিল।
গত ৮ অক্টোবর সাভারের আশুলয়িায় র্যাবের অভিযানে পাঁচতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন আব্দুর রহমান নামে এক জঙ্গি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, আব্দুর রহমানই উগ্রবাদী সংগঠন নব্য জেএমবি’র প্রধান। মুল নাম সারোয়ার জাহান। আরেক সাংগঠনিক নাম শাইখ ইব্রাহীম আবু আল হানিফ।
র্যাব মহাপরিচালকের দাবি, নব্য জেএমবির নিহত অর্থদাতা আব্দুর রহমানই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কথিত বাংলাদেশ প্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল আল হানিফ। নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় তামিম চৌধুরীর আস্তানায় কাউন্টার টেরেরিজম যখন অভিযান চালায় সেসময় এই দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। বিশেষ একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ করে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, তামিম চৌধুরীর নব্য জেএমবির নেতা হিসেবে তার পরের সারির অর্থাৎ দ্বিতীয় সারির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। আব্দুর রহমান যে পর্যায়ের ছিল তাতে তার সঙ্গে তামিমের সরাসরি যোগযোগ খুব কম ছিল। কখনও কখনো মিটিংয়ে দেখা হয়েছে তাদের।