মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আমানত বেড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা
অর্থনীতি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১০-২২ ২০:১৬:৪১
গত ২৫ বছরে বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৩ লক্ষ গ্রাহক এবং আমানতের পরিমাণ ৩২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির এমডি ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
আগামী ২৪ অক্টোবর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাংকটির এমডি ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এ সময় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা চেষ্টা করেছি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সেবার মান উন্নত রাখতে। এছাড়া আমাদের প্রায় ২ হাজার ৭০০ সহকর্মী রয়েছেন, তারা সবসময়ে আমাদের সেবাটা সঠিকভাবে দিতে চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকে সু-শাসন বজায় রাখা হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বোর্ড কখনো কোনো লোন, প্রমোশন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। ওনারা শুধু কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো দেখতে চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কোনো ইস্যু আছে কিনা এবং আমরা কোথাও ব্যর্থ হচ্ছি কিনা এসব বিষয়ে তারা আপডেট থাকতে চান। প্রতি প্রান্তিকে আমরা ব্যাংকের সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করি।
ব্যাংকটির এমডি বলেন, গত ৫ বছরে আমরা যে পরিমাণ ঋণ দিয়েছে তার ১ শতাংশ নন-পারফর্মিং (এনপিএল) হয়েছে। সুশাসনের কারণে আমাদের উপর মানুষের আস্তা আছে। গত কয়েক মাসে আমানত অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলেরা বছরে দুই-তিন মাস বসে থাকে। এসময় তাদের হাতে কোনো কাজ থাকে না। আমরা এসব জেলেদের জন্য এখন কাজ করছি। অনেককে গরু দেওয়া হচ্ছে, আবার অনেককে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যেনো পুরো বছরে আয়ের স্থিতিশীলতা থাকে। এজন্যই আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের লোন দিতে সম্প্রতি একটি কোম্পানির সঙ্গে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষকরা অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাবে। এর ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ কৃষকদের কাছে টাকা কম থাকে।অনেক সময়ে এক কাজে ঋণ নিয়ে অন্য কাজে ব্যয় করে ফেলে। অ্যাপের মাধ্যমে দিলে সেটি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ লোনের টাকা সঠিক খাতে ব্যয় করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ২০২২ সালে ফরেন কারেন্সির চাপ ছিলো। ২০২৩ সালে কয়েকটি ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ঐসব ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করেছিলো। এরপর থেকেই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন জানিয়েছে তারা আর সাপোর্ট দিবেনা, সমস্যাগুলো তখন আরও বেশি প্রকাশ্যে আশা শুরু করে।
বর্তমানে এমটিবি’র ১২০টি শাখা, ৪১টি উপ-শাখা, ৩৩৬টি এটিএম (যার মধ্যে ২৮টি সিআরএম অন্তর্ভুক্ত), ৩১১৭টি পজ টার্মিনাল, ১৮২টি এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার, ৩টি ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম), ৮টি এয়ার লাউঞ্জ এবং ৪টি ফরেন এক্সচেঞ্জ বুথ রয়েছে বলেও জানান এমডি।
সৈয়দ মাহবুব বলেন, এমটিবি’র কর্মী, গ্রাহকবৃন্দ এবং স্টেকহোল্ডারদের অবদানের প্রতি স্বীকৃতিস্বরূপ, সপ্তাহব্যাপী এই উদযাপন চলবে এমটিবি সেন্টার ও এমটিবি টাওয়ার সহ এমটিবি’র সকল শাখা ও উপ-শাখা জুড়ে। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাস ও প্রগতির পথে আরো এগিয়ে যাবে অদম্য গতিতে।
বিএইচ