মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা, ২ জনের যাবজ্জীবন
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-২৩ ১৬:০৩:৪২
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন জিসান (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের দুটি ধারায় ১ লক্ষ ২০ ধারায় টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো.সালমান হোসেন শিবলু (২২)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতার শিকার জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে তারা। একই দিন সন্ধ্যার পরে তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার দুদিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ২২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদন্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিল। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু শিবলুকে সাথে নিয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।
এম জি