অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন জাবি ছাত্রশিবির
::জাবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-৩০ ০০:৩৩:২৪
সম্প্রতি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর এবার প্রকাশ্যে এলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং প্রচার সম্পাদকের নাম।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সাকি সাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় ।
জানা গেছে, সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬তম) ব্যাচের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম) ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি একই ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে কোন ধরনের দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনয়ন, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ছাত্রশিবিরকে আদর্শিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধের একটি বয়ান তৈরি করে এসেছে। আদতে এই বয়ানের কোনো সত্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা আসলেও এরকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব ন্যা’। কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনা। ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধকরণ ও ট্যাগিং রাজনীতি মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমের সহায়ক শক্তি হিসেবেই কাজ করেছে।
গত ১৫ বছরে ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের দরুন রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক। ছাত্ররাজনীতির এ যৌক্তিক সংস্কারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।