নেপালের আলোচিত সেই সবজিবিক্রেতার পরিচয় পাওয়া গেছে
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৭ ১২:৪০:২৮
পাকিস্তানের নীল চোখের চা-বিক্রেতা আরশাদ খানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরপরই ইন্টারনেট মেতেছিল নেপালি সবজিবিক্রেতাকে নিয়ে। মেয়েটির অসাধারণ সৌন্দর্য্য ও আপাত সরলতার প্রশংসা করে টুইটার ব্যবহারকারীরা তার ছবি ভাইরাল করলেও তার নামটি এতদিন অজানা ছিল সকলের।
বলা হচ্ছে, দূর থেকে ঐ মেয়েটির ছবি তুলেছিলেন এক পর্যটক। অবশেষে সেই মেয়েটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম কুসুম শ্রেষ্ঠা, বয়স ১৮। খবর বিবিসির। এর আগে, অজ্ঞাত পরিচয় নেপালি এই মেয়েটি স্থানীয় এক বাজারে সবজি বিক্রি করছেন ও সবজি বহন করছেন – ইন্টারনেটে এমন ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তার সবজি বহনের ছবি টুইটারে পোস্টের পর “মিট দ্য নেপালি তরকারিওয়ালি এবং সবজিওয়ালি নামে টুইটারে নেপালের সবজিবিক্রেতার ছবি ট্রেন্ডিং হিসেবে পোস্ট হতে থাকে।
বিবিসি জানায়, কুসুম শ্রেষ্ঠার পরিবার থাকে নেপালের রাজধানী শহর কাঠমুন্ডু থেকে প্রায় ৫৫ মাইল দূরে গোর্খা এলাকার বাগলিংয়ে। শ্রেষ্ঠা দেশটির চিতওয়ান জেলার একটি কলেজে পড়েন এবং ছুটির দিনে পরিবারকে সাহায্যের জন্য সবজি বিক্রি করে থাকেন। কলেজের ছুটিতে ওই সবজি বিক্রির কাজের সময় তার ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। যেসব ছবি ইন্টারনেট মাত করেছিল, তার একটি ছিল তিনি একটি ঝুড়িতে সবজি নিয়ে যাচ্ছেন, মুখে হাসি। আরেকটি ছবিতে তিনি বাজারে সবজি বিক্রির সময় মোবাইলে কথা বলছেন।
ফটোগ্রাফার রূপচন্দ্র মহারজান নেপালি একটি ব্লগসাইট, গুন্ডরুক পোস্টকে জানিয়েছেন গোর্খা এবং চিতওয়ানের মাঝামাঝি একটি ব্রিজ থেকে শ্রেষ্ঠার ছবিগুলো তোলা হয়েছে। ইন্টারনেটে খ্যাতি পাওয়া এই শ্রেষ্ঠা বিবিসিকে জানান, ছবি ভাইরাল হওয়ার কাহিনী তিনি প্রথম তার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন। তিনি বলেন, “আমার বন্ধু বললো, তুমি কি সেই মেয়ে যার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে?
আমি তখনো কিছুই জানতাম না!” “তারপর ওই ছবিগুলো আমাকে পাঠানোর পর আমার মনে হলো আরে এগুলো তো আমারই ছবি। ওটা আমার সবজি বেচার দিন ছিল। রূপচন্দ্র আমার ছবি তুলেছিল, তবে তোলার সময় আমি জানতাম না যে সে ছবি তুলছে”।
ইন্টারনেটে এভাবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো অবাক হয়ে গেছেন কুসুম শ্রেষ্ঠা। পাকিস্তানের চা-ওয়ালার মতো তিনিও যদি মডেলিংয়ের প্রস্তাব পান, তাহলে কি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে কুসুম শ্রেষ্ঠ বলেন “হ্যাঁ, করব।” আপাতত ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ছেন কুসুম শ্রেষ্ঠা। পড়া শেষে তিনি নার্সের প্রশিক্ষণ নিতে চান। কারণ বাবার চোখে লাজুক এই মেয়েটির ইচ্ছা যে নার্স হয়ে রোগীদের সেবা করা।