আ.লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১১-১২ ১৬:৩০:৫৪


জনগণের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্যানসেল (বাতিল) করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস।

আমীর খসরু বলেন, আপনি যদি অন্য কোনোভাবে আওয়ামী লীগকে বাতিল করে দিতে চান, এগুলো টিকবে না। ফ্যাসিস্টকে বাতিল করবেন ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য কোনোভাবে বাতিল করলে কোনো সুফল বয়ে আনে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপির জন্য সংস্কার নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানও যুগপত আন্দোলনে থাকা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু সবাইকে নিয়ে নয়, বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করবে হবে। সেটি একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করা সুযোগ নেই। যেসমস্ত সংস্কার ঐক্যমতে আছে সেগুলো বাস্তবায়নের আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে, তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের একটি বয়ান ছিল, স্বৈরাচারের একটি ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল উন্নয়নের ওপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়ন সঙ্গে গণতন্ত্রের হাতে হাত মিলে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার উন্নয়ন। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে পকেটের উন্নয়ন। একমাত্র বয়ান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।

আমীর খসরু আরও বলেন, আমরা ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ১৬ বছরে জ্বলে পুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে বিএনপি নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটারধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকব না।

এম জি