পাকিস্তানে মাজারে বোমায় নিহত ৫২

প্রকাশ: ২০১৬-১১-১৩ ১১:১১:১৮


pakistanপাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার জেলায় শাহ নুরানির মাজারে বোমা হামলায় ৫২ জন নিহত ও ১০২ জন আহত হয়েছে।

বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ আহমেদ বুগতি ৫২ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ হামলায় বিদেশিদের হাত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বুগতি। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটি আত্মঘাতী হামলা, নাকি দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

ডনের জানানো তথ্য
মাজারের মধ্যে বিস্ফোরণ হয়।
নিহত ৫২, আহত ১০২।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো খুবই কঠিন।
আশপাশে কোনো ভালো হাসপাতাল নেই।
করাচি থেকে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
করাচির হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

খুজদার জেলায় শাহ নুরানির এ মাজারে সুফি মতাদর্শের মাহফিল (ধামাল) চলছিল। মাজারের তত্ত্বাবধায়ক নওয়াজ আলী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে ধামাল হয়। দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এ উপলক্ষে এখানে আসে।

খুজদার জেলার মানবাধিকার সংস্থা ইধির কর্মকর্তা আবদুল হাকিম লাসি জানান, যখন বোমার বিস্ফোরণ হয়, তখন মাজারে প্রায় ৫০০ লোক ছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ডন অনলাইন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছেছেন। তবে পাহাড়ি দুর্গম এলাকা এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো বেশ কঠিন।

বোমা বিস্ফোরণে মাজারের বিদ্যুৎব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়েছে। জেনারেটরের মাধ্যমে মাজার আলোকিত করা হয়। এদিকে, উদ্ধার তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক টুইটে জানিয়েছে, সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের নির্দেশে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল শাহ নুরানি মাজারে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা ও মেডিক্যাল সেবায় অংশ নিয়েছে তারা। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর ৪৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। সিন্ধুর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দলও মাজারে পৌঁছেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার কাজ চলছে।