মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে: প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৬-১১-১৬ ১২:৩৫:৩৮


nurulমালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার শিগগির খোলার আশা করছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশি কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। সকালে মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে এ কথা বলেন তিনি। এই শিগগির কতদিন পর -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে  শ্রমিক পাঠানো শুরুর আশা করছেন তিনি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ কার্যত সাত বছর ধরে। মাঝে সরকারিভাবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হলেও গেছে নগণ্য সংখ্যক।

কিন্তু বাংলাদেশিদের মধ্যে এই দেশটিতে কাজ করার বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে। সরকারিভাবে জনশক্তি রপ্তানিতে ব্যর্থতার পর চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে (জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে) শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি হয়েছে। সেটাও ১০ মাস হয়ে গেলো। প্রতিবারই নানা জটিলতায় আটকে যাচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি। তবে এবার আর তেমন কোনো জটিলতা থাকছে না বলে আশা করছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েমের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে ঢাকা ছেড়েছে।

এর কিছুক্ষণ পর মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের টিমের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা মৌখিকভাবে বলেছে লোক নেবে। এখন চাহিদাপত্র পাওয়া গেলেই লোক পাঠানো সম্ভব হবে।’ তবে এখনও এই চাহিদাপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানান মন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আশা করছি এই মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের শুরুতে লোক পাঠানো সম্ভব হবে।’

কত লোক পাঠানো যাবে বলে আশা করছেন-জানতে চাইলে খুবই সংক্ষেপে জবাব দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘ডিমান্ড অনুযায়ী।’ কোন কোন খাতে এই কর্মী যাবে?-এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘নির্মাণ, প্ল্যানটেশন (প্রধানত কৃষি) এবং ম্যানুফেকচারিং (উৎপাদন) খাতেই প্রাথমিকভাবে লোক যাবে। মালয়েশিয় প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।