চাঁদপুরে নৌ-পুলিশ পাড়ির সাথে বিধবার বিয়ে
প্রকাশ: ২০১৬-১১-২১ ১২:৫৫:৩০
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে ঈশান বালার বিধবার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে কাজী ডেকে তাদের ৩ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে পড়ানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নীলকমল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সুরুজ সরকার কান্দির মৃত শাহাজালাল গাজীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রাহিমা বেগম ও নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার বাসিন্দা মজিদ সরকারের ছেলে ৫ সন্তানের জনক এসআই মো. মনিরুল হককে রোববার ভোর ৪টায় স্থানীয় জনতা রহিমা বেগমের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে তাকে কাজী ডেকে তিন লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে রহিমার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সরদার জানান, নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ির আইসির বিষয়টি আমি এলাকাবাসী হতে জেনেছি। শুনেছি উভয়ের সম্মতিতে এলাকাবাসী তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে নীলকমল ইউনিয়নের কাজী মাও. মো. ইউসুফের সহকারী ও স্থানীয় এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাও. মো. নজরুল ইসলাম বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা আইসিকে মহিলার ঘরে আটক করে আমাকে ডেকে নিয়ে তাদের বিয়ে পড়ানোর জন্য বলেছেন। উপস্থিত গণ্যমান্যদের সাক্ষীর ভিত্তিতে আমি তাদের বিয়ে পড়িয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, আইসি মনিরুল হক এই ফাঁড়িতে আসার পর থেকে বিধবা রহিমা বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। এলাকাবাসী অনেক দিন ধরে ধরার জন্য চেষ্টা করে এবং আজ তাকে হাতেনাতে ধরে বিয়ের ব্যবস্থা করে।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, নীলকমল ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মনিরুল হকের সাথে ঐ নারীর সম্পর্ক ছিলো। জেনেছি গতকাল ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।