কাঁকড়া-শুঁটকি রফতানিতে ৮০০ কোটি টাকা আয়
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৪-১২-২৪ ১৫:১৪:২৪
দেশে বেড়েছে কাঁকড়া ও শুঁটকি রফতানি। গত অর্থবছরে ৯ হাজার ৭৮৯ টন কাঁকড়া ও ৩ হাজার ৩৮ টন শুঁটকি রফতানি করে আয় হয়েছে যথাক্রমে ৭৩৫ ও ৭৬ কোটি টাকা, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্ববাজারে মৎস্য জাতীয় দুই পণ্যের রফতানি বেড়ে যাওয়া এবং দাম ভালো পাওয়ায় এ খাত নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, মানসম্মত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ হাজার ৭৮৯ টন কাঁকড়া রফতানি করা হয়। যার বাজারমূল্য ছিল ৭৩৫ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৪৪৭ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকায় ৭ হাজার ৪৫২ টন কাঁকড়া রফতানি করা হয়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রফতানি বেড়েছে ২ হাজার ৩৩৭ টন এবং রফতানি মূল্য বেড়েছে ২৯০ কোটি টাকার বেশি।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৯৪ কোটি টাকায় ৭ হাজার ৭৩০ টন এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬৪ কোটি টাকায় ৬ হাজার ২৮৮ টন কাঁকড়া রফতানি হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড ১২ হাজার ৫৫৮ টন কাঁকড়া রফতানি হয়েছিল, যার রফতানি মূল্য ছিল মাত্র ১৯৯ কোটি টাকা। বিশ্ববাজারে তখন কাঁকড়ার দাম এখনকার মতো বেশি ছিল না। তাছাড়া ডলারের দামও সেই সময় কম ছিল। মূলত বাংলাদেশ থেকে চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কাঁকড়া রফতানি হয়।
অন্যদিকে সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুঁটকি রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৩৮ টন। যার মধ্যে সাধারণ শুঁটকি ২ হাজার ৯৬২ টন এবং লবণাক্ত শুঁটকি সাড়ে ৭৬ টন। এসব শুঁটকির রফতানি মূল্য ছিল ৭৬ কোটি ৫৬ লাখ ৩১ হাজার ৫০৩ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি হয় ২ হাজার ২২৪ টন, যার বাজারমূল্য ছিল ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে শুঁটকি রফতানি বেড়েছে ৮১৪ টন, আর্থিক মূল্যে যা ২৭ কোটি ৭৮ লাখ ৩১ হাজার টাকারও বেশি।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড ৪ হাজার ৬৯১ টন শুঁটকি মাত্র ৬২ কোটি টাকায় রফতানি হয়। অর্থাৎ চার বছর আগে রফতানির পরিমাণ বেশি হলেও দাম ছিল কম। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মূলত চীন, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়।
এনজে