রোগী মারা যাইবার পর অ্যাম্বুলেন্স আসিল
আপডেট: ২০১৬-১২-০৩ ১৮:২০:১১
ছোট বেলায় ট্রান্সলেসন শিখেছিলাম, “রোগী মারা যাইবার আগেই ডাক্তার আসিল”। তখন এই কেন জানি এই ট্রান্সলেসনটা কঠিন মনে হত, ছাত্র হিসাবে অত খারাপ কোন কালেই ছিলাম না। এখন বুঝি কেন তা কঠিন মনে হত কারণ আসলে রোগী মারা যাবার পর এ্যম্বুলেস আসে।জানি না এখনকার স্কুলের বইয়ে এই ট্রান্সলেসনটা আছে কিনা, থাকলে বাদ দেওয়া উচিত।শেখানো উচিত “রোগী মারা যাবার পর অ্যাম্বুলেন্স আসিল” যেটা কাজে লাগে সেটাই তো বাচ্চাদের শেখানো উচিত, তাই না? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতো আবার “সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা”। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি কি ভেবে দেখবেন?
ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল দশা।পনের মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।ব্যস্ত রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ ভাবে গাড়ী পাকিং করা থাকে। এই চিত্র নগরের সর্বত্রই। যায়গায় যায়গায় অবৈধ পার্কিং, হকারদের দখলে ফুটপাথ , রাস্তা দখল করে অবৈধ সি এন জি স্ট্যান্ড, সারা বছরজুড়ে রাস্তা খোড়াখুডি, প্রায়ই দেখা যায় বর্ষাকালে রাস্তা খোড়াখুডি করা হয়, এমনিতেই জলাবদ্ধতা জলাবদ্ধতা তার উপর খোড়া রাস্তা রিকশা উল্টে সাধারন মানুষের বেহাল অবস্থা। জলাবদ্ধতা দেখলে সত্যি বুঝা যায় যে উন্নয়নের জোয়াড়ে ভাসছে দেশ। এত কিছুর মধ্যে ক্ষমতাশীন দলের নেতারা ও প্রশাসনের লোকজন ট্রাফিক নিয়মের তোয়ক্কা নানা করেই উল্টা পথে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে, ভাবটা এমন যে দেশটা শুধুই তাদের, তাদের সময়ের অনেক দাম আর সাধারণ জনগনের হাতে অফুরন্ত সময়। জনগনের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয় জনগনের প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। উনারা কতটকু জন স্বার্থ সংরক্ষণ করেন? অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারনে প্রায়শই এই নগরীতে অগ্নিকান্ড ঘটে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থার কারনে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ী ও এ্যম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের কারনে এ্যম্বুলেন্স রোগীর কাছে সময়মত পৌছাতে পারছে না কিংবা রোগী নিয়ে হাসপাতাল পৌছাতে পৌছাতে অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে। মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেন কিনা তা আমাদের জানা নেই।
ইদানীং কালে এর সাথে নতুন যোগ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের বাসগুলো, এই বাসগুলো কখনোই ট্রাফিক সিগনাল কিংবা নিয়মের পরোয়া করে না। এখানে উল্যেক্ষ্য যে শিক্ষাথীরই বাসগুলকে নিয়ম ভাঙতে বাধ্য করে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষাথীর নিয়ম ভাঙগার নিয়ম শিখে। যারা কিনা পরবর্তীতে প্রশাসনের গুরুত্বপুর্ণ পদে চাকুরী করে।তাহলে তারা কিভাবে নিয়ম শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করবে?
প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠবে, দেশের মানুষ সঠিক ট্যাক্স দিবে, দিন রাত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন করবে কিন্তু তার বা তাদের স্বজনদের মরার আগে বাচানোর শেষ চেষ্টাটুকু করার আধিকার নাই।