বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া

আপডেট: ২০২৫-০১-০৭ ২০:৫০:২৫


উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার পর তিনি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন।

এ সময় তার বাসভবনের সামনে অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থক সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাযাকে ঘিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবির ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লন্ডনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আমরা মনে করি, এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে আসবেন। তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এভসেক, এপিবিএনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও মোতায়েন থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে তার (খালেদা জিয়া) যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই থাকবে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে আগত অন্য যাত্রীদের যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারেও আমাদের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে।

প্রসঙ্গত, চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর দেশে ফিরে একাধিক দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের শুরু থেকেই কারান্তরীন হন তিনি।

দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।

বিএইচ