মধুমতি নদীতে কুমির !
|| প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৫ ২০:৪১:০৭ || আপডেট: ২০১৫-১০-২৫ ২০:৪২:২২

নদীতে কুমির ! বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবাক হওয়ার সংবাদই এটা। অবাক হলেও সত্যিই মধুমতি নদীতে পাওয়া গেছে প্রায় ৮ ফুট লম্বা একটি কুমির। শুধু তাই নয়, নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া এক যুবকের পা খাবলে গোশত উঠিয়ে নিয়ে গেছে কুমিরটি। প্রাণপণ চেষ্টায় বেঁচে এসেছে ওই যুবক।
জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার শিরগ্রাম এলাকায় মধুমতি নদীতে রাসেল, রুবেল, শামিম, কুদ্দুস, সবুজ ও সেলিম খান নামে ৬ যুবক মাছ ধরতে যান। নদীর চরের একটি অংশে গেলে আকস্মিকভাবে একটি বড় ধরনের প্রাণি রাসেলের পা কামড়ে ধরে পানিতে টেনে নিতে থাকে। তখনও কেউ বুঝতে পারেনি রাসেল কুমিরের আক্রমণের কবলে পড়েছে। রীতিমতো কুমিরের সাথে লড়াই শুরু হয়ে যায়।
এ সময় তার ডাক চিৎকারে সঙ্গিরা এসে কুমিরের কবল থেকে রাসেলকে উদ্ধার করে।
তবে কুমিরটি কামড়ে তার দুই পায়ের মাংস ছিড়ে নিয়ে গেছে। পরে সবাই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ৮ ফুট লম্বা ও প্রায় দেড়মণ ওজণের স্ত্রী কুমিরটি ধরতে সক্ষম হয়। রাতেই কুমিরটিকে নিয়ে আসা হয় শিরগ্রামের দাউদ খাঁনের বাড়িতে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করেন কুমিরটিকে এক নজর দেখার জন্য।
পরে শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন হোসেনের কাছ থেকে খুলনা বিভাগের বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ওয়াউল্ড লাইফ রেঞ্জার লুৎফর পারভেজ কুমিরটিকে বুঝে নেন।
এ সময় জেলা বন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কানাইলাল স্বর্ণকার, উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, মিঠা পানির নদ-নদী থেকে প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে মিঠা জলের কুমির ও ৩০ বছর আগে ঘড়িয়াল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ক্লায়কেশে শুধু টিকে আছে খাঁড়ির কুমির। এগুলো শুধু পূর্ব সুন্দরবনে দেখা যায়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ