“হলে সিটবাণিজ্য ও বাকি খাওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা”
আপডেট: ২০১৭-০১-২৩ ১৩:৪৫:৪৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলন গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। অনেক নাটকিয়তার পর ১১ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে গুরত্বপূর্ণ পাঁচটি পদের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। দায়িত্ব গ্রহণের পর একান্ত স্বাক্ষাতকারে দলের সার্বিক বিষয়ে সানবিডি২৪.কমের রাবি প্রতিনিধ আলী ইউনুস (হৃদয়) এর সাথে কথা বলেন সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সঠিক কোনো সময় জানাতে পারেনি। তবে তিনি জানান, আগামী ২৪ জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুর্নমিলনী ঢাকার সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে হবে । সেজন্য এখন আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এরপরেই আমরা সিভি সংগ্রহ করা শুরু করবো তারপর যাচাই বাছাই শেষ হলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল নিষ্ক্রিয় আছে। তাই তাদের রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা যেনো বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে কোনো সুবিধা নিতে না পারে বা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট না করতে পারে আমরা সেদিকে লক্ষ রাখছি। সেজন্য আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার লক্ষে পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করবো এবং সিভিগুলো প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থা বা এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া তারা পারিবারিকভাবে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা চাইবো কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের আর্দশের বিরোধীদের কেউ ছাত্রলীগে আসতে না পারে। আর বির্তকের সৃষ্টি যেন না হয় রাবি ছাত্রলীগ ইউনিট নিয়ে।
এসময় তিনি রাকসু নিবার্চন নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, রাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যের সাথে প্রথমিক আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের মেয়াদের মধ্যে রাকসু নির্বাচন করতে চাই। রাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা কাজ করছি এবং ভবিষতে করে যাবো।
ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে করে কোনভাবেই যেন স্থানীয়রা ক্যাম্পাসে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে। কথা দিচ্ছি কখনোই ক্যাম্পাসে কখনোই আমরা কাউকে মাইনাস করে রাজনীতি করবো না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। রাবি ছাত্রলীগকে মডেল ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবটুকু করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সিটবাণিজ্য ও ডাইনিং-ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার নজির রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবং আমার সাধারণ সম্পাদক সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি হলে সিটবাণিজ্য করা যাবে না। ডাইনিং-ক্যান্টিনে বাকি খাওয়া যাবে না। যদি কারোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার কঠোর ব্যবস্থাসহ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে নারী শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে র্দীঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের পরিচয়ে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা দেখা গেছে। এ ধরনরে প্রভাব বন্ধে নারী শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে কমিটি দেয়ার বিষয়ে কিবরিয়া বলেন, আসলে আমরা খুব অল্প সময় হলো দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো খুব দ্রুত সব হলগুলোতে কমিটি দেয়ার। যাতে করে হলগুলোতে ছাত্রলীগের পরিচয়ে কোন ঝামেলার সৃষ্টি না হয়।
সানবিডি/রাবি/হৃদয়/এসএস/এমজেড