মালয়েশিয়ায় আইএস সন্দেহে দুই বাংলাদেশি আটক
আপডেট: ২০১৭-০১-২৪ ১৮:৩৫:০২
মালয়েশিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি সন্দেহে দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বৃহস্পতিবার আটক হওয়া এই দুই জন মালয়েশিয়ায় সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেছে মালয়েশীয় পত্রিকা নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
খবরে বলা হয় আটক হওয়া ২৭ ও ২৮ বছর বয়সী দুইজনের বাংলাদেশি আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। গত ১৩ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ধারবাহিক জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে মালয়েশিয়ায় এই দুই বাংলাদেশি ও এক নারীসহ চার জনকে আটক করে মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। আটক হওয়া সবার বয়স ১৭ থেকে ৩১ এর মধ্যে
মালয়েশিয়া পুলিশের আইজি তান স্রি খালিদআবু বকর বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে এই জঙ্গিদের ফিলিপাইনভিত্তিক আইএস জঙ্গি ড. মাহমুদ আহমাদ ও ইসনিলন হাপিলনের সেলে যোগ দেয়া আটকাতে পারা গেছে। এই অংশটি মালয়েশিয়ার সাবাহ অঞ্চলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গিদের এই সেলে যোগ দেয়ার ট্রানজিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিল।
আইএসে যোগ দেয়ার আগে ড. মাহমুদ মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন, তার সঙ্গে আছে ফিলিপাইনের আবু সায়াফ জঙ্গির একটি অংশের নেতৃত্বে থাকা ইসনিলন। তারা আইএসের প্রতি আনুগত্য জানিয়েছে। ড. মাহমুদ ছাড়াও ফিলিপাইনের মিন্দানাওভিত্তিক জঙ্গি সেলে আরো দুই মালয়েশেীয় আছে।
জানুয়ারির ১৩ তারিখ সাবাহ কোটা কিনাবালু থেকে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়, ফিলিপাইনি সেই ব্যক্তি ঘড়ি বিক্রেতা হিসেবে কাজ করছিল। ড. মাহমুদের নির্দেশনায় ওই ব্যক্তি মালয়েশেীয়, ইন্দোনেশিয়ান, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে জঙ্গি নিয়োগের পরে ফিলিপাইনে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিল। তার সঙ্গে ২৭ বছর বয়সী এক মালয়েশীয় নারীও গ্রেফতার হয়। ওই ফিলিপিনোকে বিয়ে করে তাদের ফিলিপাইনে যাওয়ার কথা ছিল।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে দুই বাংলাদেশি সেলসম্যানকে আটক করা হয় সন্দেহভাজনকে। তারা ড. মাহমুদের দলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করার জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হন। বাংলাদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয় খবরে।