ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়াবে না ভাত!
প্রকাশ: ২০১৭-০১-৩০ ১৮:৩৮:৪৩
পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু যারা ভাত খান তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ভাতের শ্বেতসার যে ক্যালোরি পাওয়া যায়, তা দেহে শর্করা এবং মেদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীদের হিসেব মতে, এক কাপ ভাত থেকে প্রায় ২০০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি হয়; যা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ থাকতে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকের পরামর্শে কম পরিমাণে ভাত খাওয়া নিয়ে সব সময় নানা অভিযোগ তুলেন ভাত খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা। এ অভিযোগের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছেন শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞানী সুদাহির জেমস এবং ড. পুষ্পরাজা তাবরাজা।
দেশটির কলেজ অব কেমিক্যাল সায়েন্সে দীর্ঘ গবেষণার পর তারা জানান, ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে আনলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যায়। ভাত রান্নার বিশেষ কৌশল অবলম্বন করলে এ ক্যালোরির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
আজ সোমবার আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির জাতীয় সভায় ওই গবেষণার প্রাথমিক ফল প্রকাশ করেন তারা।
এতে রান্নার বিষেয় কৌশলের বর্ণনা দিয়েছেন গবেষক সুদাহির জেমস। তিনি বলেন, প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফোটাতে হবে। ওই পানিতে যে পরিমাণ চাল রান্না করা হবে, তার ৩ শতাংশ পরিমাণ নারকেল তেল দিতে হবে। এরপর সেই পানিতে চাল দিতে হবে। ভাত হওয়ার পর তা ফ্রিজে ১২ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করতে হবে।
ড. পুষ্পরাজা বলেন, বিভিন্ন ধরনের চালে ১০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যালোরি থাকে। নারকেল তেল দিয়ে ভাত রান্নার পর তা টানা ১২ ঘণ্টা ধরে ফ্রিজে রাখার ফলে ভাতে যে শ্বেতসার থাকে- তার রাসায়নিক প্রকৃতি বদলে যায়। এতে ভাতের ক্যালোরির পরিমাণও কমে যায়। ক্যালোরির পরিমাণ কমলে ভাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত শ্রীলংকার ৩৮ প্রজাতির চাল দিয়ে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর সব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ পদ্ধতি রান্নার ফলে সব ধরনের চালের ক্যালোরির পরিমাণ অনেকাংশ কমে যায়। আরও ৪ প্রজাতির চালে এ পরীক্ষা চালানো হবে। একইসঙ্গে নারকেল তেল ছাড়া অন্য কোনো তেলে এই সুফল পাওয়া যায় কি না- তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস