জামায়াতের ২৮ নারী কর্মী আবারও রিমান্ডে
প্রকাশ: ২০১৭-০২-০৬ ১৬:৩৩:১৯
বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক জামায়াতের ২৮ নারী কর্মীকে আবারও একদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলা সুষ্ঠু তদন্তে আবারও সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত শুক্রবার তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোডের ১১/৭ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীদের আটক করে পুলিশ। আটকের পর মোহাম্মাদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুক জানান, আটকরা জামায়াত ও ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গোপন বৈঠকে সরকার উৎখাত ও বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল আটক জামায়াতের নারী কর্মীরা। তেজগাঁও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ওই বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হচ্ছিলেন জামায়াতের নারী রোকনরা। আটক হওয়া নারীরা নাশকতার মাধ্যমে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সন্দেহজনক ব্যক্তিরা ওই বাসায় যাতায়াত করে বলে গোপন তথ্য ছিল। পুলিশ গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাটের দরজায় কড়া নাড়ে। এ সময় তারা কেউই দরজা খুলে দিচ্ছিলেন না। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে দরজা খুলে দেয়া হয়। এরপর ওই ফ্ল্যাট থেকে ২৮ নারীকে আটক করা হয়। এরপর আরো দুজনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটক নারীরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ডাক্তার রয়েছেন। এছাড়া তাদের মধ্যে অনেক নারী দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
ডিসি বিপ্লব আরও বলেন, আটকের সময় নারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের বই, লিফলেট ও নাশকতার পরিকল্পনার নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে কেউ কেউ প্রকৃত পরিচয় গোপনের চেষ্টা করছিল। তাদের আদালতে নেয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে সঠিক পরিচয় ও তাদের বৈঠকের রহস্য।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহিলা জামায়াতের শাহনাজ বেগম (সেক্রেটারি বা সভানেত্রী), নাইমা আক্তার (রোকন), উম্মে খালেদা (কর্মী), জোহরা বেগম (রোকন), সৈয়দা শাহীনা আক্তার (রুকন), উম্মে কুলসুম (সাথী), জেসমিন খান (রুকন), খোদেজা আক্তার (সাথী), সালমা হক (রোকন), সাকিয়া তাসলিম (রুকন), সেলিমা সুলতানা সুইটি (রোকন), হাফসা (রোকন), আকলিমা ফেরদৌস (রোকন), রোকসানা বেগম (সদস্য), আফসানা মিমি (কর্মী), শরীফা আক্তার (সদস্য), রুবিনা আক্তার (রোকন), তাসলিমা (সদস্য), আসমা খাতুন (রোকন), সুফিয়া (সমর্থক), আনোয়ারা বেগম (রোকন), ইয়াসমিন আক্তার (কর্মী), সাদিয়া (সমর্থক), ফাতেমা বেগম (সমর্থক), উম্মে আতিয়া (রোকন), রুমা আক্তার (রোকন), রাজিয়া আক্তার (সমর্থক) ও রহিমা খাতুন (রোকন)।