বিনা বিচার : ২০ জনের জামিন প্রশ্নে রুল

প্রকাশ: ২০১৭-০২-০৭ ১৫:৪৯:০৪


Courtদশ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন কারাগারে থাকা ২০ বন্দির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২০ জনের ১০ জনকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ৫ জনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও অপর ৫ জনকে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন পৃথক দুইটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

বিভিন্ন কারাগারে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে থাকার বিষয়টি সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি ও আইনজীবী আনিচ উল মাওয়া।

২০ জনের মধ্যে এক হত্যা মামলায় মৌলভীবাজারের ফারুক হোসেন ২০০৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। অপর এক হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেলিম মিয়া ২০০৫ সালে ২১ এপ্রিল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ২০০৩ সালের ৩ মার্চ থেকে আরেকটি হত্যা মামলায় একই কারাগারে আছেন রাজু জগনাথ, ২০০৩ সালের ৪ জুলাই থেকে এক হত্যা মামলায় একই কারাগারে আছেন বশির উদ্দিন। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে হাবিবুর রহমান, ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে মনিরুজ্জামান মুন্না, ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নাসির উদ্দিন এবং ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে গিয়াসউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন।

এ ছাড়া হত্যা মামলায় মো. হায়দার আলী ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আছেন। আরেকটি হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে মো. রফিকুল ইসলাম রাজা পিরোজপুর জেলা কারাগারে আছেন।

এদিকে ২০০৪ সালের ১৮মে থেকে পৃথক দুই মামলায় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন নজরুল ইসলাম। একটি হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ১০ মার্চ থেকে একই কারাগারে আছেন সিরাজ। আরেকটি হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন আলম মিয়া। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন মতিউর। একটি হত্যা মামলায় একই কারাগারে ২০০৬ সালের ১৩ মে থেকে আছেন ফয়েন।

এ ছাড়া আরেকটি হত্যা মামলায় ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে কাইলা কালাম পাবনা জেলা কারাগারে আছেন। ২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে মো. আবদুল খালেক একটি হত্যা মামলায় নাটোর জেলা কারাগারে আছেন। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ২২ জুলাই থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন অপূর্ব দাশ। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট থেকে  মো. তৈয়ব শেখ এবং আরেকটি মামলায় ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মো. সুমন খুলনা জেলা কারাগারে আছেন।