পদ্মা সেতু নিয়ে নির্দোষ দেশকে দোষী করা দুঃখ জনক : আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৭-০২-১৩ ১০:১৮:৪৯


Anisআইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, কানাডার আদালত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মামলায় যে রায় দিয়েছে তাতে প্রমাণিত হয় এতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। ওই সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমাদের মর্যাদা হানি করার জন্য যে চেষ্টা হয়েছিল সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে নিজ খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছি। এটা কিন্তু একটি মর্যাদার বিষয়। আর বিশ্বব্যাংক কাগজপত্রের ভিত্তিতে যে কিছু করে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা দু-তিন জন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে একটা নির্দোষ দেশকে দোষী করার চেষ্টা করেছে। এটা দুঃখ জনক।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে মার্কস মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যাগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার খসড়া গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই মর্মে রাষ্ট্রপতি ইতিপূর্বে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। খসড়াটির যেখানে যেখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা দেখা দিয়েছে সেগুলো পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খসড়াটিতে যে সব পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমার মনে হয় রাষ্ট্রপতি শিগগিরই গেজেট করার অনুমতি দিবেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকার কখনোই দ্বি-মুখী থাকতে চায় না। মাঝে মাঝে অনেক কিছুর বা অনেক শব্দের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়ে যায় যাতে কোন সময়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকার বিপরীত পথে হাঁটছে না বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, কানাডার আদালত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মামলায় যে রায় দিয়েছে তাতে প্রমাণিত হয় এতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। ওই সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমাদের মর্যাদা হানি করার জন্য যে চেষ্টা হয়েছিল সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই মামলা তদন্তের জন্য যে ওকাম্পো সাহেব দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আদালতে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। দুর্নীতি করেন ওনারা আর তার খেসারত দিতে হয় আমাদের। এই প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের কারণে যারা ক্ষতিগস্থ হয়েছেন তাদেরকে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি কিনা জানিনা। তবে আমার মনে হয় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই নাই। আমরা শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে নিজ খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছি। এটা কিন্তু একটি মর্যাদার বিষয়। আর বিশ্বব্যাংক কাগজপত্রের ভিত্তিতে যে কিছু করে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা দু-তিন জন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে একটা নির্দোষ দেশকে দোষী করার চেষ্টা করেছে। এটা দুঃখ জনক।
মার্কস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক মাসুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মার্কস গ্রুপের চেয়ারম্যান ফরিদা মাসুদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, মার্ক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।