বিশ্ব ব্যাংকের কাছে শত কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি ১৪ দলের

প্রকাশ: ২০১৭-০২-১৫ ১৬:১৮:০০


AWLপদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন (একশ কোটি) ডলার অর্থাৎ ৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে নির্মাণ কাজে যে বিলম্ব হয়েছে তাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে ক্ষতিপূরণে বিশ্ব ব্যাংকের একশো কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, বিগত তিন বছর আগে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ায় জাতির কাছে আমরা অসম্মানিত হয়েছিলাম, আমাদের সারা বিশ্বের কাছে ছোট করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ এখন কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের তৎকালীন সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই, এখন তাদের জবাব চাই। পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে অর্থায়ন ফিরিয়ে নেয়ায় নির্মাণ কাজের বিলম্বসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য আমাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশ্ব ব্যাংককে এক বিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি হিসেবে দিতে হবে|

নাসিম বলেন, এই ষড়যন্ত্রের নাটের গুরু ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি একটি পক্ষকে খুশি করে নোবেল পুরস্কার নিয়েছেন। আর এই পুরস্কারের প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। ১/১১- এর সময়ে তার ভূমিকার বিষয়েও সবাই জানে। তার প্রতিটি কাজেই দেশদ্রোহিতা স্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, সে একটা চক্রকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নের অন্যতম নজির পদ্মসেতু নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্থ করেছে। তাই আমরা স্পিকারের কাছে আবেদন করেছি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ডেকে তাকে জবাব দেয়ার জন্যে। আমরা মনে করি ইউনূসসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীর বিষয়ে দেশের জনগণের জানার অবকাশ আছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই অভিযোগ উঠার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন পদ্মাসেতুর কাজে তিল পরিমাণ দুর্নীতি নেই। তারপরও এই ইউনূসরা প্রধানমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশকে হেয় করেছে। আজ অনেক বাধা অতিক্রম করে প্রমাণিত হয়েছে যে, পদ্মাসেতু প্রকল্পে কোনো প্রকার দুর্নীতি হয়নি। তাই ১৪ দল মনে করে এইসব ষড়যন্ত্রকারী ছাড় পেতে পারেন না। তাদেরকে জনগণের সামনে এনে দাঁড় করাতে হবে।

‘এই ইস্যুতে যারা হেয় হয়েছেন, মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন, এই রায়ের পর তাদেরকে মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দেয়া হোক’ সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজ্জার এমন দাবিকে কীভাবে দেখছেন? -সাংবদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, তার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের নেতা দিলিপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।