‘ইসির কাজে সরকারের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই’

প্রকাশ: ২০১৭-০২-১৬ ১০:৩৫:৪৫


EC_Nurul_Hudaসদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজে সরকারের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ নেই।’

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নতুন ভবনে সিইসি তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, ‘সংবিধান, আইন ও বিধিবিধান মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। নির্বাচনের সময় ইসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো দলকে সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রমে প্রধান পাথেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, সংবিধানের অধীনে প্রণীত বিভিন্ন আইন, আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা এবং নির্বাহী আদেশসমূহ। সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের বিধানবলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান তিনটি দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে-  ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ, নির্বাচন পরিচালনা এবং সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ। তা ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বও নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। দেশের সব ভোটারকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পিত। অভিজ্ঞ এবং নিষ্ঠাবান নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

‘আমরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করেছি। আমরা সংবিধান এবং সংবিধানের অধীনে প্রণীত আইন-কানুন, বিধিবিধানের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালনে অটল এবং আপোষহীন থাকব। নির্বাচন কমিশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারের অনুসরণীয় দিকনির্দেশনা কাজে লাগাব এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দক্ষতা ব্যবহার করব। তা করতে গিয়ে আমরা সরকার, সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম এবং জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি,’ বলেন সিইসি।

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান। ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশনে গেলে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।