সিফাত হত্যাকা-ে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা স্বজনদের
প্রকাশ: ২০১৭-০২-২৫ ১৭:০৮:০৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী সোমবার । এদিকে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছেন স্বজনসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত বছরের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপার আহমেদ আলী চারজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আসামীরা হলেন, সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলি, শ্বশুর হোসেন মোহাম্মদ রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান।
রায় প্রসঙ্গে সিফাতের ছোট ভাই কে এম আসিফ-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি আপুর হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন আদালত।
সিফাতের সহপাঠী মেহেরুল সুজন বলেন, প্রথম থেকেই এ হত্যাকা-কে বিভিন্ন ভাবে আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা ছিলো আসামী পক্ষের। কিন্তু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যায় এটা আত্মহত্যা নয়, আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা আদালত হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ রায় প্রদান করবেন।
এদিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল বলেন, প্রথম থেকেই এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে এসেছি। আমরা চাই এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় আইনজীবী হোসেন মোহাম্মদ রমজানের বাড়িতে মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। এ ঘটনায় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। প্রথমে সিফাত আত্মহত্যা করেছে বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করে। পরে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে হত্যার প্রমাণ মিলে।#