খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার আদালত পরিবর্তন

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০১ ১৬:৪৩:০১


Khadijaসিলেটে কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার আদালত পরিবর্তন হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো মামলার আদালত পরিবর্তন করেন। এখন থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলবে।

আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, বুধবার আদালতে যুক্তিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ফৌজধারি কার্যবিধির ৩৪৭ ধারায় আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানায়। কিন্তু মুখ্য মহানগর হাকিমের এ রকম রায় প্রদানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেছেন।

তিনি আরো জানান, আগামী ৫ মার্চ মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন কিংবা রায় প্রদান করা হবে।

গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এছাড়ার ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।

গত বছরের ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

গত ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে ১১ ডিসেম্বর ১৫ জন এবং ১৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন আরো একজন। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। সব মিলে ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ৩৪ জনের।