‘নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে’
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০২ ১৮:৩৭:৪৪
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সকল কর্মকর্তার কথাবার্তা, আচার-ব্যবহারে যেন সবার এমন আস্থা থাকে যে, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না। নির্বাচন কমিশনের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে- তারা কি চায়। আর ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তৈরিতে এমন লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে যেন তাদের ওপর সবার আস্থা থাকে। যাকে তাকে দিয়ে এটা করা ঠিক হবে না। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাশনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করাই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ওই বেঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা।
লেখক ও গবেষক সৈয়দ মকসুদ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। আগামী সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এই নির্বাচন কমিশনের সামনে দু’টি বিকল্প আছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে প্রশংসিত হওয়া। দ্বিতীয়টি হলো একটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসে নিন্দনীয় হওয়া। একুশ শতকে বাঙালি জাতি নিন্দনীয় হওয়াও অপছন্দ করে না। নতুন কমিশন কেবল দায়িত্ব নিল, কাজেই এখনই তাদের নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক আসিফ নজরুল প্রমুখ।