সোমালিয়ায় খরায় শতাধিক প্রাণহানি, ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০৫ ১১:২৫:৫৩
জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণার চার দিন পর সোমালিয়ায় তীব্র খরায় খাবার সংকট এবং পানি শূন্যতাজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়ে গত দুই দিনে কমপক্ষে ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাজধানী মোগাদিসুতে দুর্যোগ মোকাবিলায় গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাছান আলি খায়ের এ তথ্য জানান। এরআগে খরার কারণে সোমালিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহি ফারমাজো।
নিহতের বেশিরভাগই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপসাগরের গ্রামাঞ্চলের। সেখানে খরার ক্ষয়-ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সারাদেশের মৃতের সংখ্যা যোগ করলে এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তীব্র খরায় ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মরতে বসেছে অসংখ্য মানুষ এবং গৃহপালিত পশু। খাবার ও পানির অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করা মানুষের নিদারুণ কষ্টের কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছে দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি।
জাতিসংঘের ধারণা, পুরো মাত্রার একটি দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় থাকা সোমালিয়ায় ৫০ লাখ মানুষের সাহায্য প্রয়োজন।
স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে খাদ্য সহায়তার আশায় অনেকে রাজধানী মোগাদিসুর দিকে ছুটছেন। খাবারের খোঁজে একটি ফিডিং সেন্টারে জড়ো হয়েছেন বাস্তুচ্যুত হওয়া সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিশুদের অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। সংস্থাটির ফেমিন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস নেটওয়ার্ক বলছে, সোমালিয়ায় ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে প্রায় তিন লাখ ৬৩ হাজার শিশু। এরমধ্যে মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে ৭১ হাজার। এই শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সোমালিয়া সরকার বলছে, ব্যাপক ক্ষুধার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসী তৎপরতার মতো ঘটনা ঘটছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় চার দেশের জন্য ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা চেয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এ দেশগুলোর মধ্যে সোমালিয়ার নাম ছিল। ওই তালিকায় থাকা বাকি দেশগুলো হচ্ছে, নাইজেরিয়া, সাউথ সুদান এবং ইয়েমেন। বিবিসি।