দৌড়ে বাংলাদেশ পার হলেন আরাফাত
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০৬ ১৭:৩৫:৪০
টেকনাফের নোয়াপাড়া পরিবেশ টাওয়ার থেকে যাত্রা শুরু করে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে পৌঁছে ২০ দিনের সফল দৌড়ে বাংলাদেশ পার হলেন মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত। দি গ্রেট বাংলাদেশ রান-রান ফর হেলদি বাংলাদেশ নামে প্রথম দৌড়ে বাংলাদেশ পাড়ি জমালেন আরাফাত।
গত ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই অভিযাত্রায় তাকে এক হাজার চার কিলোমিটার পথ পার হতে হয়েছে।
বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে চৌরাস্তার তেঁতুলতলার উম্মুক্ত মঞ্চে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এসময় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সানিউল ফেরদৌস, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার কাজী মাহবুবুর রহমান বক্তব্য দেন। এসময় আরাফাতের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার সকাল ১০.৪৫ মিনিটে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে আরাফাতকে স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ফুলেল সংবর্ধনা জানায়।
দৌড়ে বাংলাদেশ পাড়ি দেয়ার সময় নানা প্রতিকুল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে আরাফাতকে। হাঁটুতে ইনজুরি নিয়ে এই দীর্ঘ পথ পার হয়েছেন তিনি। এছাড়া নির্মাণাধীন রাস্তায় দৌড়ানোটাও ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় যমুনা সেতু। নিরাপত্তাজনিত কারণে, পায়ে হেঁটে যমুনা সেতু অতিক্রম করার অনুমতি পাওয়া না গেলে তিনি সাতঁরে পাড়ি দিয়েছেন যমুনা নদী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা জানায় আরাফাত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে পড়ুয়া আরাফাত একটি বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি সাতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার। গত বছর ভারতের চেরাপুঞ্জি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে ফুল ম্যারাথন সম্পন্ন করেন তিনি। বাংলাদেশের আয়রন ম্যান হতে চান আরাফাত। এভারেষ্টের চুড়া স্পর্শ করতে চান।