সাংবাদিক দীপঙ্কর হত্যার রহস্য খুললো রাজীব গান্ধী
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০৭ ১৮:০৭:১৭
জেএমবি’কে নিয়ে লেখালেখি করার কারণেই বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে বগুড়ার প্রবীণ সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী খুন হয়েছেন।
এমনি তথ্য বেরিয়ে এসেছে রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার আসামি শীর্ষ জেএমবি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর স্বীকারোক্তিমূলক এক জবানবন্দীতে।
আর এর মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সহ-সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বগুড়া পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এ হত্যার রহস্য উন্মোচনের বিষয়টি তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘রাজীব বগুড়ার কয়েকটি জঙ্গি সংশ্লিষ্ট মামলায় বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে। সে জেএমবি’তে যোগ দেবার পর যেসব কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে এসবের বর্ণনা দিতে গিয়ে সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যায় জড়িত থাকার কথা জানায়। পরে গত সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে। শেরপুর উপজেলার আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিব তার জবানবন্দী গ্রহণ করেন।’
জবানবন্দীতে দেয়া রাজীবের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, “রাজীবের ভাষ্যমতে জেএমবি’র তৎকালীন শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুল আউয়ালের (শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতা) নির্দেশে সাংবাদিক দীপঙ্করকে হত্যা করা হয়। দীপঙ্কর জেএমবি ও বাংলা ভাইকে নিয়ে দুর্জয় বাংলায় নেতিবাচক লেখালেখির কারণে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। হত্যাকাণ্ডে রাজীবসহ আরো তিনজন অংশ গ্রহণ করে। তারা হলো, সারোয়ার জাহান মানিক, সানাউল্লা এবং নুরুল্লাহ। এদের মধ্যে মানিক সম্প্রতি আশুলিয়ায় জঙ্গি বিরোধী অভিযানকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২অক্টোবর মধ্যরাতে বগুড়ায় নিজ কর্মস্থল শহরের সাতমাথায় অবস্থিত আঞ্চলিক দৈনিক দুর্জয় বাংলা পত্রিকা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১২বছর পাঁচমাস চারদিন পর এর রহস্যের জট খুললো বগুড়া জেলা পুলিশ।