‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে ইসির গেজেট
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০৯ ১০:১৪:৫২
নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ইসি সচিব স্বাক্ষরিত গেজেটটি ইসিতে এসে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্টের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বাদ দিয়েছে। এর ফলে আগামীতে কোনো রাজনৈতিক দল ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারবে না।
কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বরাদ্দ না দিতে এবং দেয়া হয়ে থাকলে তা বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইসি। গত ১৪ ডিসেম্বর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে ইসি সচিবালয়ে পাঠানো হলে কমিশন বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ৬৫টি প্রতীক সংরক্ষিত ছিল। নির্বাচনী দলীয় প্রতীক হিসাবে এতদিন জামায়াতে ইসলামীর নামে ‘দাড়িপাল্লা’ সংরক্ষিত ছিলো। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুযায়ী একমাত্র নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। কিন্তু ২০১৩ সালে উচ্চ আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করার পর দশম সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি আর ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় ভোটেও প্রতীক তালিকায় ‘দাঁড়িপাল্লা’ রাখা হয়নি। বিধি সংশোধনের পর দাঁড়িপাল্লা বাদ দিয়ে প্রতীক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪টি। ‘দাঁড়িপাল্লা’ বাদ দিতে সংসদ নির্বাচনের বিধি সংশোধন করতে হলেও স্থানীয় সরকারের প্রতীক তালিকায় সংশোধনী আনতে হবে না।
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম জানান, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৯ এর উপবিধি (১) এর ৩২ নম্বর ক্রমিক থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাতিল করেছে কমিশন।