সেন্টমার্টিনে দেড় সহস্রাধিক পর্যটক আটকা

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-১১ ১০:০৩:১১


Saintmartinবৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে  বেড়াতে গিয়ে দেড় সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

শুক্রবার ভোর থেকে বৈরী আবহাওয়া ও সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন যায়নি। ফলে এ সকল পর্যটক ফিরতে পারছেন না। তবে আটকা পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সঞ্চালনশীল মেঘমালার জন্য সাগর উত্তাল থাকতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, প্রতিদিনই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ড্রাইনিং এন্ড ক্রুজ, এমবি বাঙ্গালি, এলসিটি কুতুবদিয়া, গ্রীন লাইন, বে ক্রুজ ও এলসিটি কাজল পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু শুক্রবার বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারেননি। যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দিতে হয়েছে।

সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেন্টমার্টিনে কমপক্ষে দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের যাতে খাওয়া ও থাকার কোনো অসুবিধা না হয়, তা খেয়াল রাখা হচ্ছে।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ হাশেম জানান, সেন্টমার্টিনে ৮৫টি হোটেলে দেড় থেকে দুই হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল করতে না পারায় তারা টেকনাফ ফিরতে পারছেন না। তবে কেউ প্রয়োজন মনে করলে তাদের স্পিডবোটে করে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছে দেওয়া হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌরুটে জাহাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে রয়েছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল পুনরায় চালু করে আটকেপড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।