‘আস্তানায় জঙ্গি নেই ব্যাগে আছে গ্রেনেড-বোমা’

প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০১ ১০:০৯:৪৯


Jangiকুমিল্লার জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ নামে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষ করেছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুমিল্লা মহানগরীর সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারাসংলগ্ন কোটবাড়ি এলাকার গন্ধমতিতে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার ওই বাড়িটি ঘিরে অভিযান চলাকালে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আস্তানায় জঙ্গি পাওয়া যায়নি, তবে জঙ্গিদের রেখে যাওয়া ট্রলিব্যাগে ৫ কেজি করে ওজনের শক্তিশালী ২টি বোমা, সুইসাইডাল গ্রেনেড ৪টি। শনিবার বোমাগুলো ঘটনাস্থলে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

এর আগে আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে এ অভিযান শুরু করা হয়। এসময়ে এলাকার বাসা-বাড়ি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত বুধবার বিকাল ৪টা থেকে ওই বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছিল আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে এক জঙ্গির দেয়া তথ্য ও দেখানোমতে গত বুধবার আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ওই বাড়িটি ঘেরাও করে দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। সেখানে একটি কক্ষে জঙ্গিরা বোমা ও বিস্ফোরক নিয়ে অবস্থান করছে বলে পুলিশ ধারণা করেছিল। বুধবার বিকালের দিকে আমরা ওই বাড়িতে জঙ্গির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটকেন্দ্রসংলগ্ন ওই বাড়িটিতে অভিযান না চালিয়ে পরদিন শুক্রবার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউটের’ প্রস্তুতি শুরু করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেন, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেনসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম থেকে আসা সোয়াটের একটি টিম, র‌্যাব, ক্রাইম সিন ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকালে মেডিক্যাল টিম, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি অভিযানস্থলে নেয়া হয়।