হাজারীবাগে ট্যানারি বন্ধে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজ শুরু
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৮ ১২:৫২:৫৬
হাইকোর্টে নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর হাজারীবাগে চালু থাকা সব ট্যানারি বন্ধে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এর আগে রাজধানীর হাজারীবাগে চালু থাকা সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ট্যানারি থেকে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে স্বরাষ্ট্র ও শিল্পসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এ বিষয়ে ৬ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। প্রয়োজনে সাভার চামড়াশিল্প নগরীতে হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকদের প্লট বাতিল করে নতুন ট্যানারি মালিকদের দেওয়া হবে।
ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হাইকোর্ট ২০০১ সালে রায় দেন। এরপর ২০০৯ সালের ২৩ জুন আদালত এক আদেশে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগ ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। পরে সরকারের আবেদনে এ সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ান আদালত। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবর ছয় মাস সময় বাড়ানো হয়। সে সময়সীমা শেষ হয় ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল। এর পরও হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো হয়নি। আদালতের অনুমতি ছাড়াই সরকার ট্যানারি মালিকদের দফায় দফায় সময় দেয়। সর্বশেষ আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সব ট্যানারি সরিয়ে নিতে সরকার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে বেলা। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল উল্লিখিত আদেশ দেন আদালত।