মির্জাপুরে পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-১১ ১২:২৯:৪৪
আসন্ন ১৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য লাগানো পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলা হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া কামারপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঐ এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভাওড়া ও হাড়িয়া কামারপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে উভয় গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভাওড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর (ঘোড়া মার্কা) অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেনের (নৌকা মার্কার) কর্মী সমর্থক আলম, হান্নান, নজরুল, পাবেল ও ইলিয়াজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী সোমবার রাতে হাড়িয়া এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে লাঠি, লোহার রড, হকি স্টিক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় তার কর্মী নুরুল ইসলাম, রুমেল, ফারুক, লোকমান ও ইমরান আহত হয়। নুরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং ফারুক, লোকমান ও রুমেলকে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সরিষাদাইর এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে তাদের উপর দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ করে মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনার পর তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. সবুর মিয়ার ঘোড়া মার্কার কর্মী সমর্থকরা এলাকায় তার দলের নৌকা মার্কার সকল পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। কোন এলাকায় তার পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। এ ছাড়া তার লোকজন নৌকার কর্মী সমর্থকদের নানা ভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি অভিযোগ করেন সোমবার রাতে তার কর্মী সমর্থকরা এলাকায় ভোট চাইতে গেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজন লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তার দলের সাহানুর, পাবেল, জহিরুল, আকরাম ও খলিলসহ ৭-৮ জন আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাওড়া ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা হয়েছে।পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন।