ওসির কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন স্ত্রী
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-২৯ ১৬:৩০:৪২
চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পরকীয়া। এসবের প্রতিবাদ করায় চরম নির্যাতনের শিকার স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা। তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে দুই মেয়েকে।
শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিগত দুই বছর আগে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে এবং হ্যাপী চৌধুরী নামে এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
বিষয়গুলো জানার পর প্রতিবাদ করায় আমাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। হ্যাপী চৌধুরীও হয়রানি শুরু করে। একপর্যায়ে হ্যাপী বলে ১৮ বছর সংসার করেছেন এখন স্বামী ছেড়ে দিন আমি সংসার করব। হ্যাপী ও রেফায়েতের সম্পর্কের বিষয়ে পুরো চট্টগ্রাম জানে। এসবের প্রতিবাদ করায় রেফায়েত আমার বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে।
Khulna
শুধু তাই নয়, আমার কাছ থেকে আমার দুই মেয়ে রাইসা ও নানজীবাকেও কেড়ে নেয়। আমার সব গহনা ও অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে, পরে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হই।
রুমা আরও বলেন, আমার স্বামী এতই লম্পট যে আমাদের বিয়ের আগেও সে বহু নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিল। যশোর কোতোয়ালি থানায় এসআই পদে চাকরি করা অবস্থায় নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আমি নিজে উপস্থিত থেকে মিটিয়ে দেই। সন্তানদের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সব সহ্য করি। কিন্তু তাতেও রেফায়েত শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে গত ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করি।
মামলার পর থেকে রেফায়েত আমাকে ও আমার ভাই মো. মনিরুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে। এমনকি সন্ত্রাসীও ভাড়া করেছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে। এ মামলায় ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলা তুলে নেয়ার জন্য সে খুলনায় এসে হুমকি দিয়ে চলেছে। সে বলেছে, ‘৩০ তারিখ যদি জেলে যাই তাহলে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর কাহিনি বানিয়ে ছাড়ব’।
রুমা দুদককে আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বল্প সময়ের চাকরি জীবনে সে কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, ফ্ল্যাট-বাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখুন।