‘আমাদের চ্যানেল ভারতে দেখিয়ে কী লাভ?’

প্রকাশ: ২০১৭-০৫-০৮ ১৪:১৭:২৪


Asad.Noorসংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল চলতে সরকারি কোনো বাধা নেই। এমনকি ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও কোন বাধা নেই। এগুলো প্রচারিত হয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। এর মধ্যে তাদের লাভ-ক্ষতির বিষয় থাকে। ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের ক্যাবল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেক টাকা পায়। বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ভারতে দেখালে আমরা কি সেই টাকা পাবো? তাহলে আমাদের চ্যানেল ভারতে দেখিয়ে কী লাভ? এর মধ্যে আর্থিক হিসেবের বিষয় আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই আর্থিক সুবিধাগুলো আমাদের পক্ষে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশি চ্যানেল ভারতে চলবে না।

আজ রবিবার দুপুরে বরিশাল জিলা স্কুল চত্বরে ৭ দিন ব্যাপী বিভাগীয় বই মেলার উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, অপসংস্কৃতির কোন টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিলেও, ইন্টারনেট এবং ইউটিএবে সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে। তাই চ্যানেল বন্ধ করাই একমাত্র সমাধান নয়। এর সাথে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ীদের স্বার্থও জড়িত। তাই চ্যানেল বন্ধ না করে ভাল-মন্দের বিচার করা শিখতে হবে। ছেলে-মেয়েদেরও ভাল-মন্দের তফাত বুঝতে হবে। ভারতীয় চ্যানেলের সব কিছু খারাপ তাও নয়, আবার সব কিছু ভাল তাও নয়। বাংলাদেশর সব টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই চ্যানেল বন্ধ না করে ভাল-মন্দের বিচার করা শিখতে হবে। সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এর আগে জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বই মেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী ভারতীয় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের অবাস্তব সিরিয়ালের সমালোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, ওইসব দানবের সমাজ। মানবের সমাজ, মানবতার সমাজ গড়তে- বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো, খেলাধূলা এবং সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার উপর গুরুত্বরোপ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম, জ্ঞান সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

‘চেতনার জাগরণে বই’ শ্লোগান নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, জেলা প্রশাসন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহযোগিতায় জিলা স্কুল মাঠে সাত দিন ব্যাপী বই মেলায় জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশনী সংস্থাগুলোর ৫১ স্টল স্থান পেয়েছে। এই মেলা থেকে ৩০ ভাগ সাশ্রয়ে বই ক্রয় করা যাচ্ছে।