গরমে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা বাড়ছে

আপডেট: ২০১৭-০৫-১৭ ২১:৩৯:২১


Marcel All Product Picবাড়ছে গরম। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি। প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যক গ্রাহক ভিড় করছেন মার্সেলের শোরুমগুলোতে। কিনছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনে তৈরি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত মার্সেল ফ্রিজ।
মার্সেল বিপণন বিভাগের লজিস্টিক্স মনিটরিং প্রধান উজ্জ্বল কুমার বড়–য়া জানান, সাধারণত গরমকালে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে এবছর মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ গুণগতমান বজায় রেখে বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে মার্সেল ফ্রিজ। মার্সেল দামেও সাশ্রয়ী। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কালার এবং দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট। ফলে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা। তার মতে, সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসযুক্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন ফ্রস্ট ফ্রিজ গ্রাহক চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর মার্সেল ফ্রিজে ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এবছর স্থানীয় বাজারে ২ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা তাদের। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাজারে ৩০ টি মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ রয়েছে মার্সেল ব্র্য্রান্ডের। এর মধ্যে নতুন মডেলের ২৭.৫ সিএফটি বা ৪৩০ লিটারের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আপকামিং মডেলের তালিকায় রয়েছে ১১.৫ সিএফটি বা ২১৭ লিটারের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরসহ ৫.৫ সিএফটি বা ১০৭ লিটারের ব্যাচেলর ফ্রিজসহ টেম্পারড গ্লাসের রেফ্রিজারেটর।
সূত্রমতে, চলতি বছর সারা দেশে মার্সেল ফ্রিজের বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। ২০১৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-এপ্রিল) তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৭০ শতাংশ। মূলত, গরমকে কেন্দ্র করেই মার্চ মাসে ফ্রিজ বিক্রিতে এতো প্রবৃদ্ধি। আগামী মাসগুলোতে বিক্রির পরিমান আরো বাড়বে বলে তারা আশাবাদি।
মার্সেল প্রকৌশলীরা জানান, মার্সেলের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই ফ্রিজ তুলনামূলক শব্দহীন এবং ভিতরে বরফ জমে না। মার্সেল ফ্রিজ আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে মার্সেল ফ্রিজে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি। রয়েছে ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির ব্যবহার। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নুসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত হয়েই বাজারে ছাড়ছে মার্সেল।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে মার্সেল ফ্রিজের গ্রাহকপ্রিয়তা বাড়ছে।
মার্সেল মার্কেটিং বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, এবছর ফ্রিজের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। বাড়তি চাহিদা মেটাতে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ। তার মতে, আমদানি করা ফ্রিজ বিক্রির সময় এর ভেতরে যে পরিমান জায়গার কথা বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে কম জায়গা থাকে। ফলে সঠিক লিটার বা সিএফটি বুঝে নিয়ে ফ্রিজ কেনা উচিত।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান শামীম আল মামুন বলেন, আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে মার্সেল। সারাদেশে ৬৬ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫’শ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে মার্সেল। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। মার্সেলের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগীরই অনলাইন ভিত্তিক সেবা চালু হচ্ছে। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেরিভারি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, গ্রাহককে ওয়ারেন্টি কার্ড বহনেরও দরকান নেই। মার্সেল সার্ভারেই সব সংরক্ষিত থাকবে।