গ্রিক ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনে আমি বাকরুদ্ধ : আল্লামা শফি
প্রকাশ: ২০১৭-০৫-২৮ ১৭:৪২:২৬
উচ্চ আদালত প্রাঙ্গন থেকে অপসারণ করা গ্রিক ভাস্কর্য এনেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করায় হতবাক ও বাকরুদ্ধ হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমেদ শফি। রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নিজের এ হতাশার কথা জানান তিনি। হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এনেক্স ভবন থেকে গ্রিক ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানান।
তিনি আল্লামা শফি বলেন, ‘দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারিত হয়েছে জেনে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছিলাম। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মাথায় দেশবাসীকে হতাশ করে থেমিস ভাস্কর্য সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। এমন সংবাদে আমি বিস্মিত হতবাক এবং বাকরুদ্ধ। ’
বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ”থেমিস মূর্তি সুপ্রিম কোর্টের সামনে থাকবে, নাকি পিছনে থাকবে, এইটা কোন ইস্যু কখনো ছিলো না। ইস্যু ছিলো, থেমিস থাকবে কি থাকবে না। এইখানে মধ্যপন্থা নেয়ার কোন সুযোগ নাই। থেমিস আধুনিক রাষ্ট্র ধারণায় বিচার বিভাগের যে অবস্থান, তারও পরিপন্থী। কারণ থেমিস গ্রিক সংস্কৃতির ঐশ্বরিক আইনের (ডিভাইন ল’) প্রতীক। যে রাষ্ট্র নিজেকে আলাদাভাবে স্যেকুলার বলে পরিচয় দিয়ে নিজের কৌলিন্য জারি করে, সে কীভাবে গ্রিক ঐশ্বরিক আইনের প্রতীককে নিজের বলতে পারে?”
তিনি বলেন, ”থেমিস অপসারণে যখন আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিলাম। রমজানের আগেই কোন সংঘাত ছাড়াই থেমিস অপসারণে ভেবেছিলাম সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, ঠিক তখন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র মাস রমযানের প্রথম রাত্রে থেমিসকে পুনঃস্থাপন করে জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সাথে তামাশা করা হয়েছে। থেমিস পুনঃস্থাপনের প্রতিবাদ জানাতে গভীর রাতেও তৌহিদি ছাত্র-জনতা প্রেসক্লাবে সমেবেত হয়েছেন। প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলা করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। এই সংবাদে আমি মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। ”
আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ”আজকের মধ্যেই সকল গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। কার উস্কানিতে হামলা হয়েছে, তার তদন্ত করে দোষীদের বিচার চাই। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানাই, নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আমাদর জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্য নিয়ে তামাশা বন্ধ করে গ্রীকদের দেবী থেমিসকে চিরতরে দেশ থেকে অপসারণ করুন। ইসলামবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে আল্লাহর ভয়াবহ আযাব ও গজবের দিকে দয়া করে ঠেলে দিবেন না। ”