সরকারই চায় না দেশের মানুষ ব্যাংকে টাকা জমা রাখুক : মওদুদ আহমদ
আপডেট: ২০১৭-০৬-০৩ ১৬:৫৬:৪১
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটকে বড় বেলুন আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, এটি হচ্ছে বড় বাজেটে বড় দুর্নীতি করার মাধ্যম। ব্যাংকের আমানতের ওপর কর আরোপ করে সরকার একটি দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত দুই বছর এমনিতেই ৩৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এখন দেশের মানুষ এই আমানতের ওপর অতিরিক্ত কর বসানোর কারণে ব্যাংকে আর টাকা জমা রাখবে না। এতে বুঝা যাচ্ছে সরকারই চায় না যে, দেশের মানুষ ব্যাংকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখুক। সরকারেই বিদেশে টাকা পাচার করার জন্য ব্যবস্থা করেছেন। এর চাইতে বড় আত্মঘাতী প্রস্তাব আর কিচুই হতে পারে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
মওদুদ আহমদ বলেন, এ বাজেটের সবচাইতে বড় দুর্বলতা হল যে দুর্নীতি দমন করার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নাই। বড় বড় প্রকল্পের জন্য বড় বড় অর্থ বরাদ্দ করার হয়েছে। বড় প্রকল্প মানে হল বড় অংকের ঘুষ এবং দুর্নীতি। এই বাজেটে সরকারি ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে যে দেউলিয়া করেছে সে বিষয়ে কোন কথা নাই। শেয়ার কেলেংকারী, হলমার্ক দুর্নীতি এবং ডেসটিনির দুর্নীতির ব্যাপারে কোন কিছু উল্লেখ নাই।মূল কথা হলো এই বাজেটের অধীনে দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ থেকে নেয়া ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত এবং অপচয় হবে যার হিসাব নেয়ার কোন ব্যবস্থা নাই। অর্থাৎ বড় বাজেটের বড় দুর্নীতি অব্যাহতভাবে চলবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকারের এ বাজেট দেখতে চমকপ্রদ মনে হয় কিন্তু এর ভিতরে সাধারণ মানুষ তথা নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নাই। এ বাজেট দেখতে একটি বড় সুন্দর বেলুন। এ বাজেটের মাধ্যমে সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেওয়ার কোন নৈতিক অধিকার আছে কিনা সেটাই একটি বিরাট প্রশ্ন।’
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘উন্নয়ন খাতের চাইতে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় প্রায় দেড়গুণ বেশি ধরা হয়েছে এ বাজেটে। যা কখনোই জনগণের বাজেট হতে পারে না। এ বাজেটে ঘাটতি রয়েছে এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা।’