আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ-হীরা জব্দ প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশ: ২০১৭-০৬-০৪ ১৩:৩৬:৪৫


Aponআপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জব্দের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আজ রবিবার সকাল ১০টায় একযোগে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুমে এ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টায় শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট শাখায় এ প্রক্রিয়া শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এসব স্বর্ণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য  আমরা র‌্যাব ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি।
ড. মইনুল খান বলেন, আপন জুয়েলার্স থেকে আটক করা সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজপত্র মালিক দেখাতে না পারায় তা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টায় সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে এই স্বর্ণ জব্দ করা হবে। তবে কোনো গ্রাহক যদি স্বর্ণ বা স্বর্ণ অলঙ্কার জমা রাখার কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাদের গচ্ছিত সম্পদও  ফেরত দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এগুলো ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এরপর আইনি প্রত্রিয়ায় জব্দকৃত স্বর্ণ ও হীরা শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল  সকাল থেকে এই জব্দ ও স্থানান্তর  প্রক্রিয়া তদারক করবেন।
গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে  আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য  তিনবার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনো প্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।