মায়ের আঁচলেও হাত দিয়েছে এই বাজেট : মির্জা আব্বাস
প্রকাশ: ২০১৭-০৬-০৫ ১৭:৪৪:৪৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এই সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তাতে জনগণের কোনো কল্যাণ নেই। সরকারের ঘোষিত জনমুখী এই বাজেট সত্যিই জনমুখী। কারণ মায়ের আঁচলেও হাত দিয়েছে এই জনমুখী বাজেট। যারা ১ লাখ টাকার মালিক তারাও এই সরকারের দৃষ্টিতে সম্পদশালী। আবগারী করের মধ্যে দিয়ে জনগণকে ধোকা দিয়ে অন্য সব করকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে এই সরকার। ‘
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নীচতলায় দেশপ্রেমিক ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, টাকা বিদেশে পাঠানোর এই বাজেট সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বরং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের মন্ত্রী-এমপিদের মোটাতাজা করণের এই বাজেট জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, বিএনপির অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা এবং যুবদলের একসময়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বরকতউল্লাহ বুলুকে কারাগারে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। খায়রুল কবির খোকনসহ অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। তাদের তালিকার কোনো শেষ নেই। বর্তমান গুম-খুনের পথ ধরেই সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা ছোট ছোট সমাবেশ করছি। কারণ সরকার আমাদের কোনো সমাবেশ করার সুযোগ দিচ্ছে না। এমনকি ইফতারি করার জন্যও আমরা চীন মৈত্রী সম্মেলন, রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটসহ যেসব জায়গা চেয়েছিলাম তাও প্রত্যাখান করেছে। সবকিছু মনে হয় তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। এই অবস্থা বেশীদিন থাকবে না। যারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতায় রেখে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন তাদেরকে একসময় জনগণের মুখোমুখি হতেই হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা ঈদের আগে বরকতউল্লাহ বুলুসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন এবং গুম হওয়াদের তাদের পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যালবার্ট পি. কস্টা’র সভাপতিত্বে ও দেশপ্রেমিক ফোরামের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফাজামান লিটু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, বরকতউল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।