প্রেমের ফাঁদে দৈহিক সম্পর্ক: পুলিশের বাড়িতে অনশন
প্রকাশ: ২০১৭-০৬-১২ ১৭:১২:৫৬
প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক করলেও এখন আর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজছাত্রী। নীলফামারীর ডিমলার ওই ছাত্রীর বাড়ি সুবর্ণা রানী। তিনি ডিমলা সদর ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণার সঙ্গে ডিমলা সদরের পণ্ডিতপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায়ের (২০) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নারায়ণ বর্তমানে গাজীপুরে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
সুবর্ণার দাবি, নারায়ণ প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু এখন তিনি বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না। তাই বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানায় সুবর্ণা।
এদিকে গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুবর্ণাকে নিয়ে নারায়ণ বাড়ি এলে তার পরিবারের লোকজন কৌশল নেয়। সুবর্ণাকে আটক করে নারায়ণকে তখন বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা। পরে শুক্রবার সকাল থেকে সুবর্ণাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে নারায়ণের পরিবারের লোকজন। এক পর্যায় সুবর্ণাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এরপর থেকেই সুবর্ণা প্রেমিক নারায়ণের বাড়ির বাইরে বিয়ের দাবিতে অনশন করতে থাকে। যদিও সুকৌশলে নারায়ণের বাবা রঞ্জিত ডিমলা থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতেই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।
ডিমলা থানার এসআই সজল কুমার সরকার অবশ্য বলেন, নারায়ণের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই সুবর্ণাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে মেয়েটির বাবা রমেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমার মেয়ের এখন কী হবে। ঘটনাটিকে এখন অন্যখাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশও আমাদের কথা শুনছে না।
ডিমলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুবর্ণার সর্বনাশকারী পুলিশ কনস্টেবল নারায়ণের বিচার হওয়া উচিত। সুবর্ণাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনকারীদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।