অর্থের লোভে পাঁচ সন্তানকে বিক্রি
প্রকাশ: ২০১৭-০৬-১৩ ১৬:৫২:৪২
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানিকতলা থেকে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, অর্থের লোভে একে একে নিজেদের পাঁচ শিশু সন্তানকেই বিক্রি করে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে চার কন্যা ও এক শিশুপুত্র। কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর প্রচারিত হচ্ছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই দম্পতি হচ্ছেন সঞ্জীব ও ঝর্না দাস। সম্প্রতি এক আত্মীয়ের অভিযোগেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বিক্রি হওয়া এক কন্যাকে সোনাগাছি থেকে উদ্ধার করা হয়। তার আগেই মালদহের এক দম্পতির কাছ থেকে পাওয়া যায় দু’মাসের শিশুপুত্রকে।
দাস দম্পতির আত্মীয়দের অভিযোগ, ঝর্না ও সঞ্জীব এখনো পুলিশকে মিথ্যা কথা বলেই চলেছেন। দু’জন নয়, ওদের চার কন্যাসন্তান। তাদের বড় মেয়ের বয়স প্রায় ন’বছর। বিয়ের পরে প্রথম ছেলে হলেও ২০০৮-’০৯ সাল নাগাদ এক কন্যার জন্ম দেন ঝর্না। যদিও মেয়ের জন্মের পরে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে ওই দম্পতি নিজেদের আত্মীয়দের কাছে দাবি করেছিলেন, তাদের মেয়েটি মৃত অবস্থায় জন্মেছিল। কিন্তু পরে এক দিন ঝর্না বলে ফেলেছিলেন, সঞ্জীব মেয়ে পছন্দ করেন না। তাই ওই শিশুকন্যাকে হাসপাতাল থেকেই বিক্রি করে দিয়েছেন ওরা। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন দাস দম্পতির আত্মীয়েরা।
ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, গাড়ি চালানোর কাজে যোগ দেওয়ার আগে সঞ্জীব ও ঝর্না বাড়িতে চোলাই মদ বিক্রি করতেন। তাতে রোজই কাঁচা টাকা উপার্জন হতো। কিন্তু পরে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা মিলে গোটা এলাকায় চোলাই বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ায় সেই টাকা উপায়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি চালিয়ে সেই পরিমাণ কাঁচা টাকা হাতে আসত না। ফলে মূলত টাকার লোভেই প্রথম মেয়েকে বিক্রি করেন ঝর্না-সঞ্জীব। হাতে টাকা আসতেই লোভ পেয়ে বসে দাস দম্পতিকে। সেই লোভেই আরও তিন কন্যা ও এক পুত্রকে বিক্রি করেন তাঁরা।
স্থানীয় ডিসি (ইএসডি) দেবস্মিতা দাস বলেন, ‘ওই দম্পতিকে এ ঘটনায় এখনো জেরা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না ওরা কতগুলি সন্তান বিক্রি করেছেন।’ ইন্ডিয়া টুডে।