উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আপডেট: ২০১৭-০৬-২০ ১১:৫৫:১৩
মার্কিন শিক্ষার্থী অটো ওয়ার্মবিয়ার। গত প্রায় ১৫ মাস ধরে উত্তর কোরিয়ার কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি। কারাগারে থাকা অবস্থায় ‘কোমায়’ চলে যাওয়া ওয়ার্মবিয়ারকে মানবিক কারণে মুক্তি দেয় দেশটি। গত মঙ্গলবার সেই অবস্থাতেই তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়। এরপর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মারা গেলেন তিনি।
জানা গেছে, গত এক বছর ধরেই ‘কোমায়’ ছিলেন তিনি। তার স্মৃতিশক্তিও লোপ পেয়েছিলো এসময়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়াতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা গেছেন।
পরিবারের ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশে আসার পর অটো ওয়ার্মবিয়ার মুখে কিছু বলতে না পারলেও তার চেহারায় কিছুটা হলেও প্রশান্তির আভাস ফুটে উঠেছিলো। তার বাবা সাংবাদিকদের এর আগে বলেছিলেন, ‘তাকে আটক করে যা করা হয়েছে সেই ভয়াবহ ব্যাপার মেনে নেয়া কঠিন।’
অটো ওয়ার্মবিয়ার বয়স ছিলো ২২ বছর। বন্ধুদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়াতে গিয়েছিলেন অবকাশ যাপনে। সেখানে হোটেলের একটি সাইনবোর্ড চুরি করার অপরাধে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। সেসময়ই বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।
কিন্তু গত এক বছর ধরে অটো ওয়ার্মবিয়ার ‘কোমায়’ থাকার বিষয়টি তার পরিবারের কাছেও গোপন রাখা হয়েছিলো। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘বচিউলিজম’ নামের এক অসুখে তার এই অবস্থা হয়েছে। কিন্তু এই অসুখ কিভাবে হলো তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে দেশে ফেরার পর চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে পরীক্ষার পর মস্তিষ্কে আঘাতের কথা উল্লেখ করেন। এদিকে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একটি নিষ্ঠুর রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেছেন। বিবিসি ও সিএনএন।