সংসদকে বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১৩ ২৩:২৩:৪৮


fakhrulষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব ‘সংসদকে বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো’ হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনপি।

বুধবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ সংসদে একটি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এটা সুনির্দিষ্টভাবে পার্লামেন্টকে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করনো।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এইভাবে বিচার বিভাগকে হেয়প্রতিপন্ন করে, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিদের হেয়প্রতিপন্ন করে আজকে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। এই রাষ্ট্রকে তারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে রাখতে চায় না। এজন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো ও এই স্তম্ভগুলো তারা ভেঙে দিচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের কাছে আমাদের রিলিফ টিমকে যেতে দেয়া হলো না? কেন এই বাধা।

তিনি বলেন, আজকে রোহিঙ্গার মতো মানবিক ইসুতে চীন ও ভারত বাংলাদেশের পাশে নেই। তারা মিয়ানমারের পাশে আছে, যারা খুন করছে, জেনোসাইড করছে তাদের পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বক্তব্য রাখেন।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের হেলিন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কায়সার কামাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, নুরী আরা সাফা, আবু কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রফিক শিকদার, খন্দকার মারুফ হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, মোরতাজুল করীম বাদরু, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, হাফেজ আবদুল মালেক, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, ইউনুস মৃধা, মো. মোহনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।