ধর্ষকগুরুর আস্তানায় ৬০০ কংকাল!
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২০ ২৩:০১:০৮
ধর্ষণের অভিযোগ নয়, এক ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের ধর্ষকগুরু রাম রহিমের আস্তানা থেকে। এবার ধর্ষকগুরুর আস্তানায় মিলল ৬০০ কংকাল ।
বুধবার ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি হরিয়ানার সিরসায় রাম রহিমের আস্তানায় ব্যবস্থাপক বিপাসনা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)। ওই জিজ্ঞাসাবাদেই পি আর নাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ সহচর পি আর নাইন বলেন, ডেরায় হত্যার পর প্রায় ৬০০ কংকাল মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। জার্মানির একজন বিজ্ঞানীর পরামর্শে মাটিচাপা দেওয়া ওই কংকালগুলোর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ তদন্ত দলকে দেওয়া জবানবন্দির সপক্ষে পি আর নাইন ও বিপাসনা যথেষ্ট প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন।
রাম রহিমের অনুসারী এক নারী অভিযোগ করেছেন, ডেরায় সেবার জন্য সন্তানকে পাঠিয়ে গত ১২ বছর ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। হরিয়ানার পানিপথের ওই নারীর অভিযোগ, তিনি রাম রহিমের একজন ভক্ত। সেবার জন্য সন্তানকে ডেরায় পাঠাতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ডেরা কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞাপন দেখেই তিনি দুই মাস বয়সী সন্তানকে ডেরায় রেখে এসেছিলেন। এরপর থেকে ওই সন্তানের আর কোনো খোঁজ নেই তার কাছে।
দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গত ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।
এদিকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি ও সাবেক ডেরা ব্যবস্থাপক রণজিৎ সিং হত্যা মামলার বিচার চলছে।