৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন

আপডেট: ২০১৭-০৯-২১ ১৬:৫৯:৫৮


DSE-CSE-Logo-594x400দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এ নিয়ে সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের চার দিনই দরপতন ঘটল। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানেরই দরপতন হয়েছে। তারপরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে মাত্র ২ পয়েন্ট। মূলত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্য সূচকের বড় পতন হয়নি।
লেনদেন হওয়া ২২টি ব্যাংকেরই শেয়ার দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে কমেছে মাত্র ৫টির দাম। আর দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ এ স্থান করে নিয়েছে ৪টি ব্যাংক। দাম বাড়ার পাশাপাশি গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও লেনদেনের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে ব্যাংক খাত। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল বেশ অস্থির। তবে দিনের লেনদেন শুরু হয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। পরের ১৫ মিনিট টানা নিম্নমুখী থাকে সূচক। ফলে ১০টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে যায়।

এরপর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় ডিএসইএক্স। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ডিএসএক্স ১ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। টানা ঊর্ধ্বমুখীতায় দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে ডিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে এ পর্যায়ে এসেও সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকেনি। দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট থেকে ১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত মূল্য সূচক টানা কমে। ফলে এক পর্যায়ে ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু শেষ আধা ঘণ্টায় সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বড় দরপতন হয়নি।দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৬টি বা ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম। লেনদেন হয়েছে ৭৮০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩০১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- এক্সিম ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইফাদ অটোস এবং লংকাবংলা ফাইন্যান্স।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বুধবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬৬টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।