দুই মাসে কৃষিপণ্যে রফতানি আয় বেড়েছে ১৬.৪৭ শতাংশ
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২১ ১৮:১৯:১১
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২.১২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই খাতের রফতানি আয় ১৬.৪৭ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম দুই মাসে নয় কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই সময়ে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সময়ে কৃষিপণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১৬.৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয় হয়েছিল নয় কোটি সাত লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চা রফতানিতে আয় হয়েছে ৮৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৮৪.৬৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় দুই হাজার ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চা রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম দুই মাসে আয় হয়েছিল তিন লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
জুলাই ও আগস্ট মাসে সবজি রফতানিতে এক কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে এক কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭.১৭ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ৭.৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তামাকজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২.৮২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় এই খাতের আয় ৪৮.৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ফল রফতানিতে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮৫.৫৫ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এক হাজার ৩৫.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ৭৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭.৬৩ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের মসলা জাতীয় পণ্য রফতানি আয়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের আয় ৫৮.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শুকনো খাবার রফতানিতে আয় হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯.০৭ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের আয়ের তুলনায় ৯৪.৩৪ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে তিন কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২.৯৮ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের আয়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ কম।