২ হাজার সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫ হাজার জন

প্রকাশ: ২০১৭-১০-০১ ১১:২৭:০৯


nirapodগত বছর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৩৪৭টি। আর এতে প্রাণ হারান পাঁচ হাজার তিনজন।

শনিবার রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই -নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ বছর ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ও মরহুমা জাহানারা কাঞ্চনের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী কর্মসূচি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব শামীম আলম দ্বিপেন, যুগ্ম-মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরে ইলিয়াস কাঞ্চন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২৪ বছর আগে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি। গাড়ি ও সড়কের সংখ্যা ছিল অনেক কম। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। তখন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রতি বছর গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজারের ওপর। আহতের সংখ্যা ছিল গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। আজ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। গাড়ির সংখ্যা ৩০ লাখ। সড়কের পরিধি অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ও আহতের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে দেশে সচেতনতা তৈরি হয়নি। নিসচার নেয়া কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি গোল অর্জনে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা আমাদের দেশেও সম্ভব। যদি বাকি সাড়ে ৩ বছর আমরা ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে পারি। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি এবং সব সামাজিক সংগঠন, বিশেষ করে রোড সেফটি বিষয়ে কাজ করছেন যেসব সংগঠন, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ও আন্তর্জাতিক বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। এ বছর প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হবে। এ দিন সরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হবে এবং সভা-সেমিনার র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ পযর্ন্ত অর্থাৎ গত প্রায় এক বছরে নিসচা জনসচেতনতা তৈরিতে যেসব কার্যক্রম করেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ঢাকাসহ দেশব্যাপী র‌্যালি, মানববন্ধন, সেমিনার, চালক প্রশিক্ষণ, যাত্রী-পথচারী সমাবেশ, জাতীয় সংঘ ঘোষিত রোড সেফটি সপ্তাহ পালন, গোলটেবিল বৈঠক ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে টকশো অন্যতম।

মাসব্যাপী নিসচার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব শাখা রয়েছে, তাদের অক্টোবর মাসের মধ্যে কমপক্ষে ৭ দিনের ৭টি কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরও রয়েছে- স্কুল প্রশিক্ষণ, বাস টার্মিনালসমূহে গাড়িচালকদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ, র‌্যালিসহ অন্যান্য কর্মসূচি।