নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাব পাওয়া কে এই জেসিয়া?
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৫ ২৩:১৯:৪৯
অনেক আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের পর নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ ২০১৭ এর বিজয়ী জেসিয়ার নাম। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে এই তরুণীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিজয়ী জেসিয়া ইসলাম পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তবে বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীতে একাই থাকছেন এই সুন্দরী। জেসিয়ার বাবার নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি একজন ব্যবসায়ী। মায়ের নাম রাজিয়া সুলতানা। তিনি গৃহিণী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান জেসিয়া। দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের কারণে তার বাবা-মা আলাদাই থাকছেন। জেসিয়ার বয়স ১৮ বছর।
৫ ফুট ৮ ইঞ্চির এই সুন্দরী লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি মাধ্যম সাউথপয়েন্ট একাডেমিতে। সেখান থেকে ও-লেভেল সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর চীনের সাংহাই শহরে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন তিনি।
নাচ, গান, অভিনয়ের ওপর তার কোনো হাতেকলমে শিক্ষা না থাকলেও মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে এসেছেন জেসিয়া। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে ফ্যাশন হাউজ এক্সটেসির মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হওয়ার পর জেসিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমার জার্নিটা আজ থেকে শুরু হলো। আমার কোনো প্রবলেম ছিল না। আমি অপেক্ষা করছিলাম। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন। মিস বাংলাদেশ যদি না–ও হতাম, আমি বিশ্বাস করেছি, নিশ্চয়ই আমার জন্য বেটার প্ল্যাটফর্ম অপেক্ষা করছে।’
তাঁকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিচারকদের আর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান জেসিয়া ইসলাম। পাশাপাশি তিনি ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিকে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে জেসিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজেকে আইকন বা জনপ্রিয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেছিলাম ছোটবেলা থেকে। সেই প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-এর মঞ্চ থেকে। এবার শুধু সামনে এগুতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া রাখবেন, আমি যেন বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাই প্রথম আমার জীবনে অংশ নেয়া কোনো প্রতিযোগিতা। প্রথমেই অনেক বাঁধা পেরিয়ে সফল হয়েছি। আল্লাহর কাছে আমার লাখো শুকরিয়া। এতদূর আসতে যারা আমাকে সাহায্য করেছেন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ এবং অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে আরও কিছু গ্রুমিং করে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেছে।’