বিষাক্ত রাসায়নিক খেয়ে ওষুধ কারখানার ৩ কর্মীর মৃত্

প্রকাশ: ২০১৭-১০-১২ ২১:৩৬:৫৭


rajshahi-2017রাজশাহীতে বিষাক্ত রাসায়নিক খেয়ে একটি ওষুধ কারখানার তিনজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ভোরে দুইজন এবং দুপুরে মারা যান আরও একজন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাতজন।

নিহতরা হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর ডাইংপাড়া এলাকার মৃত তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮), ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিজুল ইসলাম (২৫) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে দুলাল হোসেন (২৫)।

চিকিৎসাধীন সাতজন হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা জামিল উদ্দিন, পারভেজ হোসেন, খানজাহান, মিনারুল, টুলু, মোশাররফ হোসেন ও অয়েন উদ্দিন। এরা হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই রাজশাহীর বিসিক শিল্প এলাকার টিম ফার্মাসিউটিক্যালস নামে একটি ওষুধ কারখানার কর্মী ছিলেন।

রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, রাসায়নিক খেয়ে গ্রামের অন্তত ১০ জন অসুস্থ হন। সবাইকে নেয়া হয় হাসপাতালে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনজন মারা যান। খবর পেয়ে সকালেই তিনি ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি বোতল উদ্ধার করে তিনি পুলিশকে দেন।

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসায়নিকটি আসলে কি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত রাসায়নিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার কারখানায় গিয়ে কর্মীরা রুটির সঙ্গে মিশিয়ে তা খেয়েছিলেন।

কাজ শেষে ফেরার পথে বোতল ভর্তি করে ওই রাসায়নিক নিয়ে যান গ্রামে। এরপর বুধবার রাতে তা কোমলপানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। এরপর থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন একে একে ১০ জন। এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এনিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা ও রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় আলাদা অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় টিম ফার্মাসিউটিক্যালস’র তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আমির জাফর বলেন, কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন, ওই রাসায়নিক আসলে বিষাক্ত অ্যালকোহল। ড্রামে করে সেগুলো রাখা ছিল। মূলত পরিচ্ছন্নতা ও ওষুধ তৈরিতে এগুলোর ব্যবহার হয়। না জেনেই তা নিয়ে গিয়েছিল কর্মীরা। এনিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে নগর পুলিশ।