রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়: খালেদা জিয়া
প্রকাশ: ২০১৭-১০-৩০ ১৬:৪৪:১৭
শুধু কথার কথা নয়, কাজে প্রমাণ করে দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফেরাতে হবে। বাংলাদেশ খুব গরিব দেশ। বাংলাদেশের পক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়। আজ সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করার সময় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করতে কক্সবাজার শহর থেকে উখিয়ার শরণার্থীশিবির যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে ময়নার গোনা হাকিমপুর ও বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ দেন। এরপর বিএনপি পন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের চিকিৎসা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে পাঁচ হাজার শিশুখাদ্য ও পাঁচ হাজার প্রসূতি মায়ের খাদ্যের প্যাকেট হস্তান্তর করেন।
ময়নার গোনায় ত্রাণ বিতরণের সময় খালেদা জিয়া বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে সরকারের যেভাবে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেভাবে তারা দাঁড়ায়নি। এমনকি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে ঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়নি।
মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘মানবতার স্বার্থে আপনাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তাসহ সকল নাগরিক অধিকার দিন। বর্ষা গেল, সামনে শীত আসছে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ১১০ টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শিশুখাদ্য ও ৫ হাজার প্রসূতি মায়ের খাদ্য তদারককারী সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউস থেকে তিনি রওনা দেন। পথে হিমছড়ি, পেঁচার দ্বীপ, রেজুখাল সেতুর দুই প্রান্ত, উখিয়ার সোনাপাড়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। উখিয়ার যাত্রাপথে বিপুলসংখ্যক নারীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
রোহিঙ্গাদের দেখতে গত শনিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে চট্টগ্রামে যাত্রাবিরতির পর গতকাল রোববার রাতে কক্সবাজারে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মইন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ৩টার দিকে ত্রাণ কার্যক্রম শেষে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।